10. Fonts and Borders
ওয়ার্কশীটে ভিজ্যুয়াল(Visual) লুক চেইঞ্জ করার প্রসেস’কে ফরমাল ল্যাংগুয়েজ-এ বলা হয় ফরম্যাটিং(Formatting)। এখন ফরম্যাটিং জিনিষটা এতটা বেশী গুরুত্বপূর্ণ কারণ, অনেক সময় আমাদের বানানো এক্সেল ফাইলগুলোকে শেয়ার করতে হয় আমাদের ফ্রেন্ডস, কলিগ’স বা বস’দের সাথে। তবে ফাইলটা যদি হয় বোরিং এবং সাদামাটা তবে তাদের First Impression তো ভাল হবেই না এবং যেই ইনফরম্যাশন টা Communicate করতে চাচ্ছি সেই Information পড়তে গিয়েও মানুষ Bored হয়ে যাবে। তাই ফরম্যাটিং এর খুঁটিনাটি জানাটা আমাদের জন্য খুবি প্রয়োজন।
ফরম্যাট করার প্রায় সব টুল’স ই মোটামুটি আমাদের এক্সেল এর Home ট্যাব -এ রয়েছে। আমরা বাম থেকে ডানে মুভ করলেই দেখব ফরম্যাট করার বিভিন্ন টুল’স সাজানো আছে ভিন্ন গ্রুপ’স –এ।
এখান আমাদের প্রথম যে ফরম্যাটিং টপিক তা হলো, আমরা শুরু করব Home ট্যাব এর একেবারে বামের Font গ্রুপ’টি দিয়ে। এর মানে এখন শিখব আমরা ফন্ট ফরম্যাটিং।
প্রথমেই নিচের ছবিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের সামনে বোরিং ও সাদামাটা একটা Seles Summery রিপোর্ট…
আমরা এবার একেবারে উপরের হেডিং এর ফন্ট’টা চেইঞ্জ করব। ফন্ট চেইঞ্জ করার জন্য আমাদের সিলেক্ট করতে হবে নির্দিষ্ট
সেল’টা। তা হলো A1 । A1 সিলেক্ট করার পর আমরা উপরে ফন্ট গ্রুপে প্রথম রো’তে দেখতে পাচ্ছি যে, ফন্ট’টার নাম হল Calibri । Calibri হচ্ছে মাইক্রোসফট এক্সেল এর ডিফল্ট ফন্ট যেটা নিজে থেকেই সব সময় সিলেক্টেড হয়ে থাকে। এই ফন্ট’টাকে চেইঞ্জ করার জন্য Calibri ফন্ট এর পাশেই রয়েছে ড্রপ ডাউন মেনুতে ক্লিক করে পছন্দমত ফন্ট সিলেক্ট করতে পারব। যেমন আমি সিলেক্ট করেছি Arial Black ।
লক্ষ করো ফন্ট চেইঞ্জ করার ড্রপ ডাউন মেন্যুর পাশেই রয়েছে আরেকটা ড্রপ ডাউন মেনু। এই মেন্যু দিয়ে সহজেই ফন্ট সাইজ ছোটবড় করা যায়। এবার তুমি এই ড্রপ ডাউন মেন্যু থেকে নিজের ইচ্ছা মত ফন্ট সাইজ পরিবর্তন করে নিতে পারবে।
ফন্ট সাইজ মেন্যুর পাশেই রয়েছে দেখো আরো দুইটা ছোট টুল যা নির্দেশ করছে দুইটা বড় হাতের লেটার্স A এং A । এই দুইটা টুলসের নাম হচ্ছে Increase Font Size & Decrease Font Size । এই টুল দুইটা দিয়ে তোমার ফন্ট নির্দিষ্ট আকারে সাইজ মডিফাই করতে পারবে।
আমরা যদি ফন্ট গ্রুপের নিচের রো’তে তাকাই তাহলে দেখতে পাব B, I এবং U । এই তিনটা টুলের সাহায্যে তুমি তোমার ফন্টকে আরো আকর্ষনীয় করে তুলতে পারবে।
B মানে হচ্ছে Bold অর্থাৎ এই টুল’টার কাজ হচ্ছে কোন ফন্ট কে গাঁড় করা বা বোল্ড করা।
I মানে হচ্ছে Italic । তুমি এই টুল-এর সাহায্যে তোমার লেখাকে সহজেই হেলানো অবস্থায় রূপান্তরিত করতে পারবে। দেখতেই তো পাচ্ছ, Italic এর I আইকন টা কেমন হেলে আছে।
U এর মানে হচ্ছে Underline । তোমার কোন লেখার নিচে দাগ কেটে মার্ক করার জন্য এই টুল ব্যবহার করতে পারবে।
Font গ্রুপের আরো একটা মজার টুল হচ্ছে Border Tool । বর্ডার টুল’টা দেখতে একটা ছোট জানালার মত। এবং Font গ্রুপের একেবারে মাঝখানে অবস্থিত। আমরা যদি আমাদের Seles Summery রিপোর্ট এর সবগুলা সেল সিলেক্ট করি। এবার আমরা বর্ডার টুল’টার সাহায্যে বিভিন্ন টাইপের বর্ডারস এড করতে পারি। বিষয়টা আরেকটু ভালভাবে বুঝার জন্য নিচের ছবিটা ভাল করে লক্ষ করো।
আর হ্যাঁ, প্র্যাকটিস চালিয়ে যাচ্ছো তো? এক্সেল হচ্ছে এমন একটা জিনিষ যা তুমি যত প্র্যাকটিস করে যাবে তত ভাল করে প্রত্যেকটা জিনিষ আয়ত্বে আনতে পারবে। কম্পিউটার বুঝতে পারাটা শীট দেখে মুখস্থ করার জিনিষ না। যত প্র্যাকটিস করবে তত জানবে এবং বুঝবে। তাই প্র্যাকটিস না করে শুধু শুধু শীট মুখস্থ করার বৃথা চেষ্টা করোনা।
এবার আমরা বর্ডার টুলের পাশেই দেখতে পাচ্ছি আরো দুইটা অপশন/টুল। দেখে মনে হচ্ছে এদেরকে কাজে লাগিয়ে কালার চেইঞ্জ করা যায়। হ্যাঁ প্রথম টুল’টার নাম হচ্ছে Fill Color এবং পরেরটার নাম হচ্ছে Font Color ।
Fill Color টুলের সাহায্যে তুমি সহজেই সেল-এর কালার চেইঞ্জ করতে পারবে। এর জন্য তুমি যতগুলো সেল সিলেক্ট করবে ততগুলো সেল-এর কালার চেইঞ্জ হবে।
Font Color এর সাহায্যে তুমি সহজেই সেল-এর ফন্ট কালার চেইঞ্জ করতে পারবে। এর জন্য তুমি যতগুলা সেল এর ফন্ট চেইঞ্জ করতে চাও তা আগেই সিলেক্ট করে নিতে হবে। আমি ফন্ট গ্রুপ ব্যাবহার করে Seles Summery রিপোর্ট টা এডিট করেছি। দেখোঃ