আজকে আপনাদের জানাতে চলেছি হ্যারি পটার সিরিজ এর সকল বইয়ের বিস্তারিত। এখানে উইকিপিডিয়া থেকে সংক্ষেপে বেশকিছু বিস্তারিত তুলে ধরা হল বাকী সব কিছু বইতে পাবেনঃ-
হ্যারি পটার হচ্ছে ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত সাত খন্ডের কাল্পনিক উপন্যাসের একটি সিরিজ।
এই সিরিজের উপন্যাসগুলির মূল বিষয় জাদুকরদের দুনিয়া নিয়ে এবং এর কাহিনী আবর্তিত হয়েছে হ্যারি পটার নামের এক কিশোর জাদুকরকে ঘিরে, যে তার দুই প্রিয় বন্ধু রন উইজলি ও হারমায়নি গ্রেঞ্জারকে সাথে নিয়ে নানা অ্যাডভেঞ্চারে অংশ নেয়। গল্পের বেশিরভাগ ঘটনা ঘটেছে হগওয়ার্টস স্কুল অব উইচক্র্যাফট এন্ড উইজার্ডরিতে। মূল চরিত্র হ্যারি পটারের বড় হওয়ার পথে যেসব ঘটনা ঘটে, তার শিক্ষাজীবন, সম্পর্ক ও অ্যাডভেঞ্চার নিয়েই কাহিনী রচিত হয়েছে। আবার বইটিতে মানুষের বন্ধুত্ব, উচ্চাশা, ইচ্ছা, গর্ব, সাহস, ভালোবাসা, মৃত্যু প্রভৃতিকে জাদুর দুনিয়ার জটিল ইতিহাস, বৈচিত্র্যপূর্ণ অধিবাসী, অনন্য সংস্কৃতি ও সমাজ প্রভৃতির দৃষ্টিকোণ থেকে বর্ণনা করা হয়েছে। এর কাহিনী মূলত কালো-যাদুকর লর্ড ভল্ডেমর্ট, যে জাদু সাম্রাজ্যে প্রতিপত্তি লাভের উদ্দেশ্যে হ্যারির বাবা-মাকে হত্যা করেছিল ও তার চিরশত্রু হ্যারি পটারকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে।
১৯৯৭ সালে হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হ্যারি পটার অ্যান্ড সরসরার্স স্টোন নামে প্রকাশিত) নামে এই সিরিজের প্রথম বই প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই এই সিরিজের বইগুলি রচনার শৈল্পিক উৎকর্ষের জন্য সমালোচকদের কাছে প্রশংসিত হয়েছে এবং সারাবিশ্বের পাঠকমহলে তুমুল জনপ্রিয়তা ও ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করেছে। বইয়ের রাজ্যের পাশাপাশি সিনেমা ও ভিডিও গেমসের দুনিয়াতেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ২০০৭ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত সাতটি বইয়ের প্রথম ছয়টি বই সারা পৃথিবীতে ৩২৫ মিলিয়ন কপিরও বেশি বিক্রী হয়েছে এবং ৬৪টিরও অধিক ভাষায় অনূদিত হয়েছে। শুধুমাত্র কুরআন ,বাইবেল এবং বুক অব মরমন (মরমনদের ধর্মগ্রন্থ) ছাড়া আর কোন বইয়ের এই রেকর্ড নেই। এই সিরিজের সপ্তম ও সর্বশেষ বই, হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস, প্রকাশিত হয়েছে ২০০৭ সালের ২১ জুলাই। প্রকাশকেরা শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই বইটির রেকর্ড-ভঙ্গকারী ১২ মিলিয়ন কপি বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন।
এই বইয়ের সাফল্য রাউলিংকে ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি উপার্জন করা লেখকের তালিকায় শীর্ষস্থান দিয়েছে। বইগুলোর ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশ করে ব্লুমসবারি যুক্তরাজ্যে, স্কলাস্টিক প্রেস যুক্তরাষ্ট্রে, অ্যালেন ও আনউইন অস্ট্রেলিয়ায় ও রেইনকোস্ট বুকস কানাডায়।
সাতটি বইয়ের কাহিনী নিয়ে আটটি সফল চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে। সর্বশেষ বই হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস এর কাহিনী অবলম্বনে দুই পর্ব বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। এর প্রথম পর্ব হ্যারি পটার এন্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস পার্ট-১ মুক্তি পায় ১৯ নভেম্বর ২০১০ তারিখে এবং দ্বিতীয় পর্ব হ্যারি পটার এন্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস পার্ট-২ মুক্তি পায় ১৫ জুলাই ২০১১ তারিখে।
কাহিনী
কাহিনী শুরু হয়েছে জনসাধারণের কাছ থেকে গোপনে থাকা জাদু বিশ্বকে নিয়ে। কাহিনী অনুসারে বিগত অনেক বছর ধরে জাদু বিশ্ব কালো জাদুকর লর্ড ভোলডেমর্টের ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় রয়েছে। একরাতে ভোলডেমর্ট গোপনে থাকা পটার পরিবারের সন্ধান পায় এবং লিলি ও জেমস পটারকে হত্যা করে। তবে যখন সে আভাডা কেদাভ্রা বা মৃত্যু অভিশাপ দিয়ে হ্যারি পটারকে হত্যা করার চেষ্টা করে তখন অভিশাপটি হ্যারির কাছ থেকে প্রতিফলিত হয়ে তার দিকে ছুটে আসে। ফলে ভোলডেমর্ট ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং সে জীবন ও মৃত্যুর মধ্যবর্তী একটি স্থানে আটকে যায়। সে আত্মার মত কিছুতে পরিনত হয়। হ্যারির কোন ক্ষতি হয় না, শুধু তার কপালে একটা বজ্রপাতের মত কাটা দাগ থেকে যায়। ভোলডেমর্টের কাছ থেকে হ্যারির এ রহস্যময়ভাবে বেঁচে যাওয়ার ঘটনা জাদু সমাজে ছড়িয়ে পড়ে এবং হ্যারি “যে ছেলেটি বেঁচে ছিল” (The Boy Who Lived) নামে পরিচিত হয়।
পরবর্তী রাতে হ্যাগ্রিড নামে এক জাদুকর হ্যারিকে তার খালার বাসায় পৌছে দেয়, যেটি পরবর্তীতে তার বাসস্থান হয়। অনাথ হ্যারি নিষ্ঠুর, মাগল (জাদুকর নয় এমন) আত্মীয় ডার্সলিদের কাছে বড় হয়। হ্যারির জাদুশক্তি থেকে রক্ষা পেতে ডার্সলিরা হ্যারির কাছ থেকে তার জাদুকর পিতা মাতার কথা লুকিয়ে রাখে, এবং তার সাথে যে জাদু বিশ্বের সম্পর্ক রয়েছে তাও গোপন রাখে। একারণে হ্যারির মধ্যে অসাধারণ কোনো জাদু গুণ দেখলে তারা হ্যারিকে শাস্তি দেয়।
পরবর্তীতে হ্যারি তার এগারতম জন্মদিনে প্রথম জাদু বিশ্বের কথা জানতে পারে, যখন সে হগওয়ার্টস স্কুল অব উইচক্র্যাফট এন্ড উইজার্ডরি থেকে ভর্তির চিঠি পায়। অবশ্য হ্যারি সেই চিঠি পড়তে পারেনি কারণ তার খালু ভার্নন তার কাছ থেকে চিঠি কেড়ে নিয়েছিলেন। এগারতম জন্মদিনে হগওয়ার্টসের পক্ষ থেকে হ্যাগ্রিড হ্যারিকে নিতে আসেন। তখনই হ্যারি জানতে পারে সে একজন জাদুকর এবং হগওয়ার্টস স্কুলে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। হ্যারি স্কুলে যোগদান করে এবং জাদু বিদ্যা আয়ত্ত্ব করে। প্রতিটি বইয়ে হ্যারির স্কুল জীবনের এক বছরের বর্ণনা থাকে। এর বেশিরভাগ অংশেই হ্যারি হগওয়ার্টসে থাকাকালীন বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চার, জাদু বিদ্যা শেখা, বন্ধুদের সাথে আচরণ, ভোলডেমর্টের সাথে লড়াই, তার মানসিক অবস্থা প্রভৃতির বর্ণনা থাকে।
মহাবিশ্ব
আমাদের দেখা পৃথিবী থেকে হ্যারির জাদুর পৃথিবী আলাদা এবং গোপনে রাখা হয়েছে। তবুও দুই পৃথিবীর মধ্যে একটি নিবিঢ় যোগসূত্র রয়েছে। অন্যান্য কল্পকাহিনী যেমন দ্য লর্ড অব দ্য রিংস এ জাদুর পৃথিবী থাকে রহস্যময় অতীতে, কিন্তু হ্যারি পটার সিরিজের জাদুর পৃথিবী বর্তমান পৃথিবীর সাথেই সহাবস্থান করে। এই জাদু বিশ্বের প্রায় সকল জাদুময় প্রাণী ও জিনিসের সাথে আমাদের পৃথিবীর সাধারণ জাদুহীন প্রাণী ও জিনিসের মিল লক্ষ করা যায়। জাদুর এই পৃথিবীর অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যা আমাদের বিভিন্ন পরিচিত শহরে অবস্থিত, যেমন লন্ডন, যাকে আমরা আমাদের পৃথিবীতে চিনি। এই পৃথিবীতে রয়েছে অনেক
ছড়ানো ছিটানো লুকায়িত রাস্তা যার প্রবেশপথ আমাদের পরিচিত পৃথিবীতে বিভিন্ন প্রাচীন মদ্যশালা, নির্জন প্রাসাদ, পরিত্যাক্ত জনপদ প্রভৃতির মাঝে গোপনে ও সযত্নে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। সাধারণ জাদুবিদ্যাহীন জনগণ (“মাগল” নামে পরিচিত) এসব খুঁজে পায় না। জাদুবিদ্যা সম্পর্কিত ক্ষমতা জন্মগতভাবেই পাওয়া যায়, যে কারণে জাদু শিখে যে কোন ব্যক্তিই জাদুকর হতে পারে না। তবে জাদুকর পিতা-মাতার জাদুর গুণাবলীহীন সন্তান (“স্কুইব” নামে পরিচিত) এবং জাদুশক্তিহীন পিতা-মাতার ঘরে জাদুকরের জন্ম (“মাডব্লাড” নামে পরিচিত) হতে পারে। জন্মগত জাদুকরদের জাদুবিদ্যা শিক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ লাভের জন্য জাদু শিক্ষার বিদ্যালয়ে যেতে হয়। জন্মগতভাবে জাদুকর হোক বা না হোক জাদু বিশ্বের মানুষজনের বেশিরভাগই মাগল বিশ্ব সম্পর্কে অজ্ঞ এবং একারণে তাদের চেহারা, পোশাক পরিচ্ছদ, আচার-আচরন, ব্যবহৃত জিনিসপত্র মাগল সমাজে উদ্ভট দেখায়। তা সত্ত্বেও জাদুবিশ্ব ও এর বিভিন্ন আকর্ষণীয় বিষয় সিরিজে সুন্দর করে বর্ণনা করা হয়েছে। এই বইয়ের একটি মূল ভাব হচ্ছে জাদুবিশ্বকে আমাদের চেনা বিশ্বের মাধ্যমে দেখা। বইয়ে দেখা যায় জাদু বিশ্বে অনেক সমস্যা রয়েছে, আমরা আমাদের সমাজে প্রতিনিয়ত যার মুখোমুখি হচ্ছি।
কাহিনীর গঠন ও ধরণ
এই সিরিজের উপন্যাসগুলো প্রায় কল্পসাহিত্য ধরনের, কোন কোন ক্ষেত্রে শিক্ষাবিষয়ক উপন্যাসের সাথে এর মিল পাওয়া যায়। বিশেষ করে যেখানে হগওয়ার্টসের কথা বলা হয়েছে, যেটি একটি ব্রিটিশ স্কুল এবং যার পাঠ্যক্রমে জাদুর বিভিন্ন ব্যবহার অন্তুর্ভুক্ত রয়েছে। এই অর্থে থমাস হিউগসের টম ব্রাউন’স স্কুল ডেজ উপন্যাসের সাথে এর মিল পাওয়া যায়। বইটিতে স্টিফেন কিং এর ভাষায় রহস্যময় গল্প, এবং প্রতিটি বই শার্লক হোমস সিরিজের মত রচনার ঢং লক্ষ্য করা যায়। বইটির বর্ণনাতে বিভিন্ন ঘটনার সূত্র লুক্কায়িত থাকে এবং উপন্যাসের চরিত্রেরা বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ব্যক্তিকে সন্দেহভাজনের তালিকায় রাখে এবং কাহিনীর শেষের দিকে ঘটনার মোড় একদম ঘুরে যায়। বইটি তৃতীয় পুরুষের ভাষায় লেখা; তবে বইয়ের কিছু কিছু স্থানে এর ব্যতিক্রম রয়েছে (যেমন গবলেট অব ফায়ার, ফিলোসফার্স স্টোন ও হাফ ব্লাড প্রিন্স এর শুরুর দিকের কিছু অধ্যায়)। ঘটনার গোপনীয়তাগুলো পাঠক তখনি জানতে পারেন যখন হ্যারি তা জানতে পারে। প্রধান চরিত্র হারমায়োনি ও রন সহ অন্যান্য চরিত্রের চিন্তা চেতনা হ্যারির কাছে প্রকাশের আগে পর্যন্ত পাঠকের কাছে গোপন থাকে।
বইটি কিছু নির্দিষ্ট গৎবাধা নিয়ম মেনে চলে। সপ্তম বই ড্যাথলি হ্যালোজ ছাড়া প্রতিটি বইয়ের সময়সীমা থাকে একবছর এবং প্রতিটি বইয়ের শুরুতে হ্যারি মাগল দুনিয়ায় তার খালা-খালু ডার্সলি পরিবারের সাথে থাকে। পরে হ্যারি জাদুর দুনিয়া ডায়াগন এলি, ওয়িজলিদের বাসা কিংবা বারো নাম্বার, গ্রিমল্ড প্লেস এলাকায় যায়। এরপর বিদ্যালয়ের রেলগাড়িতে করে সে হগওয়ার্টসে ফিরে আসে। হগওয়ার্টসে আসার পর কাহিনী পরিপক্বতা লাভ করে এবং অন্যান্য চরিত্র বর্ণনায় আসে। প্রতি বইতেই দেখা যায় বিদ্যালয়ে পাঠের সময় কঠিন রচনা, কষ্টসাধ্য জাদু, অসহনশীল শিক্ষকের সাথে হ্যারির মানসিক যুদ্ধ। ঘটনা শেষ হয় যখন হ্যারির হাতে ভোলডেমর্ট পরাস্ত হয় এবং অ্যালবাস ডাম্বলডোর হ্যারিকে কাহিনীর বিভিন্ন তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন।
ডাউনলোড করে নিন হ্যারি পটার সিরিজ বাংলায় অনুবাদকৃত ৭ টি বই একসাথে –
হ্যারি পটার সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে এখনি বাংলা পিডিএফ বইগুলো ডাউনলোড করে নিন –
ডাউনলোড লিংক
►► ফ্রিল্যান্সিং শিখুন : ফ্রিল্যান্সিং কি, আউটসোর্সিং কি এবং ফ্রিল্যান্সার কাদের বলা হয়ঃ
►► ফ্রিল্যান্সিং শিখুন : ৪৫০০ টাকা ছাড়ে ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং শিখুনhya
►► ফ্রিল্যান্সিং শিখুন : ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট বাংলা কোর্স free
►► ফ্রিল্যান্সিং শিখুন : আপনি কি বেকার…? আপনি কি কোন কাজ পাচ্ছেনা…?
►► ফ্রিল্যান্সিং শিখুন : ইউটিউব থেকে ইনকাম ২০২১ – ইউটিউব গাইডলাইন